Monday, September 8, 2014

পাপ কাজ বা খারাপ কাজ


পাপ কাজ বা খারাপ কাজ করার সময় এই অনুভুতিটা আসা যে পাপ হচ্ছে বা ভুল হচ্ছে জিনিসটা, এটাও আল্লাহ পাক এর বিশেষ রহমত বা নিয়ামত। অনেকে আছি বছরের পর বছর খারাপ কাজ করেই যাচ্ছি, বছরের পর বছর নামাজ ছুটে যাচ্ছে; কোন ধরণের অনুভুতি কাজ করেনা, মনে হয় যে এটাই স্বাভাবিক, কর্মকাণ্ডের জন্য কোন হিসাব দিতে হবেনা। কিন্তু যারা অনুতপ্ত হয় কিংবা পাপ করে ফেলার পর পরেই তৌবা করে ফেলে তারা আল্লাহ পাকের বিশেষ পছন্দনীয় বান্দা। মুল বিষয়টা হচ্ছে, আল্লাহ পাক যার ভালো চান তাকে দ্বীনি ইলম দান করে থাকেন, আর যাকে ইচ্ছা তাকে গোমরাহির মধ্যে রাখেন, চাইলেও আমি বা আপনি বা যে কোন বড় মাপের আলেমও তাকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারবোনা, যদিনা আল্লাহ পাক তাকে হেদায়েত দান করেন।
আরেকটা অতি প্রয়োজনীয় ব্যাক্তিগত উপলব্ধি হোল, সরিষা দানা সমপরিমাণ পাপ নিয়েও কেও জান্নাত এ প্রবেশ করতে পারবেনা। জান্নাত হচ্ছে মু'মিন মুত্তাকিদের জন্য। আমরা পাপ করার সময় মনে করি যে করেই ফেলি, কি আর হবে, পরে তৌবা করে নিব। ব্যাপারটা এমন যে আমরা জানি ঠিক কখন আমাদের মৃত্যু হবে (নাউজুবিল্লাহ) ঠিক এর আগে আমরা তৌবা করে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব। মোটেও ঠিক না। কোন পাপ করে থাকলে বা কোন বান্দার হক নষ্ট করে থাকলে তা জীবিত অবস্থাতেই মিটমাট করে নিতে হবে অর্থাৎ তৌবা, ইস্তিগফার বা সেই বান্দার হক আদায় করে দিতে হবে বা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আল্লাহ পাকের হক নষ্ট করলে আল্লাহ পাক ক্ষমা করতেও পারেন নাও পারেন, কিন্তু কোন বান্দার হক নষ্ট করলে সেটা মিটমাট না করে মারা গেলে আল্লাহ পাক এর সামনে জবাবদিহিতা করতে হবে যদি সেই বান্দা আপনাকে ক্ষমা না করে থাকেন।
আর এজন্যেই সর্বদা ধৈর্যধারণ আর নামাজের মাধ্যমে তৌবা, ইস্তিগফার এ ব্যাতিব্যাস্ত থাকা উচিৎ; কারণ মৃত্যু আসবে এটাই চরম সত্য।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তৌবা করার তৌফিক দান করুক। আমীন
মে আল্লাহ গাইড আস অল - আমীন
[বিভিন্ন হাদিস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা, মেলা দিন পরে লিখলাম :)]

কিছু হাদিস


কিছু কিছু হাদিস একেবারেই মন খারাপ করে দেয়... মনে হয় "আসলেই এমনটা হবে?" আসলেই তাই হবে............
২৭১ মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও আল ফাযল ইবনু সাহল আল আরাজ (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইরশাদ করেন:অপরিচিতের বেশে ইসলাম শুক হয়েছিল, অচিরেই তা আবার অপরিচিত অবস্হায় ফিরে যাবে। সাপ যেমন সংকুচিত হয়ে তার গর্তে প্রবেশ করে তদ্রুপ ইসলামও দুই মসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

কিছু হাদিস


আর কিছু কিছু হাদিস আছে যা মনে হয় বার বার বারবার পড়ি  যতই পড়ি মনে হয় যেন আরেকবার পড়লে আরেকটু ভালো লাগবে... আরও একবার পড়ি  মহান আল্লাহ পাক এর আমার উপর এতই দয়া যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিয়েছেন  আর কিছু চাওার নেই আলহামদুলিল্লাহ্‌
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলা ইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যে ব্যক্তি দুই জন
কন্যা সন্তান লালন- পালন করে, কিয়ামতে আমি এবং সে দুটি আঙ্গুলের মত এক সাথে মিলেই উপস্থিত হব।" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুল দুটি
মিলিয়ে দেখান। [সহিহ মুসলিম; ২৬৩১]
রাব্বুল আলামিন এর দরবার এ হাজারো কোটি শুকরিয়া আইদাহ এবং আয়েশা মণি এ দুজনের জন্য 

Sunday, January 26, 2014

no doubt! and ALLAH knows and HE is watching! - Surat Al-`Ādiyāt (The Courser) - سورة العاديات


ALLAH says "Call upon me and i will respond to you" - Surat Ghāfir (The Forgiver)


প্রার্থনা কবুল হবে এ দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা দুআ করবে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"প্রার্থনা কবুল হবে এ দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা দুআ করবে। এবং জেনে রাখ আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা কবুল করেন না।"
তিরমিজী, হাকেম, হাদীস সহীহ, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৯৪।

অতএব দুআয় যা কিছু বলা হবে তার প্রতি অন্তরের একনিষ্ঠ ভাব থাকতে হবে। মুখে যা বলা হল, মন তার কিছুই বুঝল না। আবার অন্তর বুঝল ঠিকই, কিন্তু তার কথার প্রতি একাগ্রতা ছিল না, মনে ছিল অন্য চিন্তা-ভাবনা। তাহলে এ দুআকে বলা হবে উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা। যা আল্লাহ কবুল করেন না।

দুয়া মাসূরা (বাংলা উচ্চারন ও অর্থ সহ)